Yamaha RX 100 - রিভিউ, ইতিহাস, টপ স্পীড

ইয়ামাহা আরএক্স ১০০ একটি জনপ্রিয় টু-স্ট্রোক মোটরসাইকেল যা ইয়ামাহা ১৯৮৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তৈরি করেছিল এবং এসকর্টস গ্রুপের দ্বারা সমগ্র ভারতে মোটরসাইকেলটি  ডিস্ট্রিবিউট করা হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে ইয়ামাহা  কোম্পানি জাপান থেকে ভারতে সব বাইক রপ্তানি করে আসছিল। ১৯৯০ সালের পর এসকর্টস কোম্পানি কিছু সংখ্যক পার্টস জাপান থেকে আমদানি করে বাইকটি ভারতে উৎপাদন শুরু করে।



    কিন্তু ইয়ামাহা আরএক্স ১০০ এর প্রথম লটের বাইকগুলি (১৯৮৫-১৯৮৬) জাপানি ভ্যারিয়েন্টের ছিল। গিয়ার শিফ্ট লিভারের ঠিক উপরে থাকা গিয়ারবক্সে "মেড ইন জাপান" শব্দটি লেখা ছিল। ইয়ামাহা আরএক্স ১০০ লিজেন্ডারি বাইক বলা হয়। ইয়ামাহা আরএক্স ১০০ টু-স্ট্রোক শক্তিশালী এবং সেরা পারফরমেন্সের জন্য ভারতের পর অনেক জনপ্রিয় একটি বাইক। এই মোটরসাইকেলের নাম অনুসারি একটি সিনেমাও বানানো হয়েছে "RX 100 (film) "।

    ইয়ামাহা আরএক্স  ১০০

    ইয়ামাহা আরএক্স ১০০ এর ডিজাইন

    বাইকটি নিরাপত্তা এবং আরামের জন্য দুর্দান্ত  একটি কম্বিনেশন। সকল কম্বিনেশনের জন্য, সেসময় বাইকের বাজারের এই বাইকের মত অন্য বাইকের কম্বিনেশন খুব কমই দেখা যেত। তাই যখন বাইক লাভাররা এমন একটি কম্বিনেশনের বাইক খুঁজে পায় তখন তারা এটিকে পছন্দের তালিকায় যুক্ত করে ফেলে।

    ইয়ামাহা আরএক্স ১০০ লাল, কালো, নীল এবং সিলভার চারটি রঙে বাইকটি পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের দেশে লাল ও সিলভার রঙের বাইক বেশি দেখা যায়।

    একটি রিং আকৃতির হেডলাইট এই বাইকটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এই বাইকে ডাবল ক্র্যাডেল ফ্রেম ব্যবহার করা হয়েছে।
     

    ইয়ামাহা আরএক্স ১০০ এর টোটাল ডিজাইনের কারনে বাজারে আধিপত্য বিস্তার করার জন্য যথেষ্ট ছিল।

    এই বাইকটির সকল তথ্য পেতে হলে ক্লিক করুন  -  Yamaha RX 100

    ইঞ্জিন এবং ক্লাচ

    টু-স্ট্রোক ইঞ্জিন মানেই একটি শক্তিশালী ইঞ্জিন। এই মোটরসাইকেলে ইঞ্জিনটি টু-স্ট্রোক, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, এয়ার কুলড, ৯৮ সিসি। এই মোটরসাইকেলে ইঞ্জিনটি ১১.৫০ অশ্বশক্তি @ ৭৫০০ আরপিএম উৎপাদন করতে সক্ষম। ডিজিটাল ইগনিশন এবং ৪-স্পীড ট্রান্সমিশন সিস্টেম বাইকটিকে অন্য ১০০ সিসি বাইক থেকে আলাদা ভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে বাইক প্রেমিদের কাছে। ইয়ামাহা আরএক্স ১০০ ইঞ্জিনের শব্দ খুব বেশী যা বর্তমানে পরিবেশ বান্ধব না। এই বাইকে ওয়েট প্লেট ক্লাচ ব্যবহার করা হয়েছে।

    ইয়ামাহা আরএক্স- ১০০ মাাইলেজ

    টায়ার এবং ব্রেক

    একটি বাইকের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে টায়ারের জন্য কিন্তু তা সঠিক সময়ে রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিয়মিত চেকআপ এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে। সামনের টায়ারের সাইজ হল ২/১৮-৪পিআর এবং পিছনের টায়ারের মাত্রা হল ৩/১৮-৪পিআর। এই বাইকটিতে উভয় পাশেই ড্রাম ব্রেক সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। যে ব্রেকিং সিস্টেম সত্যিই খুব ভালো।

    মাাইলেজ খরচ এবং গতি

    ইয়ামাহা আরএক্স ১০০ এর গড় মাইলেজ ২৫/২৮/৩০/৩২/৩৫ কিলোমিটার ( প্রতি লিটারে) আবার খুবই ভালো কন্ডিশনের এবং নিয়মিত বাইকটি পরিচর্যা করলে  ৪০  কিলোমিটার ( প্রতি লিটারে) পাওয়া সম্ভব। যা বর্তমান সময়ের জন্য খুব ব্যয়বহুল। 

    কিন্তু ৮০ কিনবা ৯০ দশকের মাঝামাঝি সময়ের জন্য ঠিক ছিল। আপনি এই ধরনের বাইক থেকে বড় ধরনের মাইলেজ আশা করতে পারবেন না কিন্তু সেই সময়ে বাজারে থাকা এর অন্য যেকোন বাইকের মত এটিও তুলনামূলকভাবে ভালো ছিল। জ্বালানী ট্যাঙ্কটি একবারে ১০.৫ লিটার পর্যন্ত সঞ্চয় করা যায়।

    ইয়ামাহা আরএক্স ১০০ বাইক রাইডার ১২০ কিমি/ঘন্টা সর্বোচ্চ গতি পেয়েছে। এই গতি পেতে হলে গাড়ির কন্ডিশন ৮০- ১০০% ভালো থাকতে হবে। এবং সর্বোচ্চ গতি পেতে হলে ভালো রাইডারও হওয়া লাগবে। তাছাড়া সচরাচর ৯০-১১০ কিমি/ঘন্টা সর্বোচ্চ গতি পাওয়া যায়।

    সর্বোচ্চ গতি এবং সর্বোচ্চ মাাইলেজ পেতে (সাইড অয়েল/ টু-স্ট্রোক ইঞ্জিন অয়েল) ব্যববহার করতে হবে।

    পারফরমেন্স

    বাংলাদেশী নস্টালজিক বাইক প্রেমীদের জন্য ইয়ামাহা আরএক্স ১০০ বাইকটি অনেক জনপ্রিয়। আজ অব্দিও বাইকটি দুর্বার গতিতে ঘুরে বেড়ায়। 


    ৮০'র দশকের বাইকটি সকলের মনেই জায়গা করে নিয়েছে। যদিও বাইকটি বাংলাদেশের রাস্তা এবং স্থানীয় আবহাওয়ার জন্য অনেক উপযোগী। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই বাইকের লাইট এবং ব্রেক সিস্টেম রাস্তার জন্য উপযোগী নয়।

    পরিশেষে একটি কথা বলতে হয় ইয়ামাহা আরএক্স ১০০ সফলতা অর্জন করা একটি বাইক।

    Popular Posts

    Scroll To Top